আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনাকান্দায় কেরাম-লুডুর জুয়া

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ

বন্দর ২০ নং ওয়ার্ডস্থ সোনাকান্দা, দড়িসোনাকান্দা, বেপারিপাড়া, মাহামুদনগরসহ বেশ কয়েটি এলাকায় চায়ের দোকানে কেরাম বোর্ড ও লুডু খেলার অন্তরালে চলছে জুয়া। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব জুয়ার আসরে যায় বিভিন্ন পেশার লোকজনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী যুবকরা। এলাকাবাসির অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রশাসন এ বিষয়ে তেমন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন জুয়ার আসর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দড়িসোনাকান্দা এলাকায় শহরআলী মহাজনের বাড়ির সামনে রুহুল আমিন, সুজন ও বাবুর চায়ের দোকানে জুয়া খেলার জন্য তিনটি কেরাম বোর্ড রয়েছে। কেরাম খেলতে প্রতিদিন এই দোকানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা বয়সি মানুষ। এক গেইম খেলতে পঁচিশ টাকা করে দিতে হয় দোকানিকে। এছাড়া প্রায় প্রতি খেলায় বাজি হয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে এবং কথা থাকে যে দল বিজয়ী হবে সে দল বোর্ড মালিককে অতিরিক্ত একশ’ টাকা দিতে হবে।

মূলত বেশি লাভের আশায় বোর্ড বসিয়ে জুয়া চালিয়ে যাচ্ছে এসব দোকান মালিকরা। তাছাড়া বোর্ডের পাশাপাশি লুডু খেলার ব্যবস্থা রেখেছেন দোকানদার । যারা কেরাম খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে না তারা লুডু জুয়ায় আসর জমায়। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশ্যে এ এলাকায় এই তিন দোকানে কেরাম বোর্ডের জুয়া চললেও স্থানীয় প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে এসব জুয়ার আসর প্রতিহত করা না গেলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ছিনতাইয়ের মত অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ বিষয়ে ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ জানায়, গত রোজার ঈদের আগে এই কেরাম বোর্ড জুয়ার বিষয়ে আমি এলাকাবাসিদের মতামত নিয়ে থানায় এটি অভিযোগ করেছি। তখন পুলিশ এসে কয়েকটি বোর্ড নিয়ে যায় তারপর বেশ কয়েকদিন এই জুয়া বন্ধ ছিল। তবে এখন যে তা আবার এই খেলা চালু করেছে তা আমি জানি না। আর লুডু খেলার বিষয়ে আমি অবগত নই তবে বোর্ডে জুয়া খেলা হয়।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন ভুঁইয়া জানান, এ ব্যপারে আমি অবগত নই। তবে আমি বিষটি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিব।